বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

বাঘায় ভটভটি-সিএনজির সংঘর্ষে প্রাণ হারালো এক নারি!

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি::

রাজশাহীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে অসুস্থ নয়ন আহমেদ (২০) কে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তার আত্মীয় সীমা বেগম (২৬), মোহন আলী (২৩) ও রনি আহমেদ (২০)। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মানিকদিয়াড় গ্রাম থেকে রেজাইল করিমের থ্রি হুইলার (সিএনজি) যোগে রাজশাহীতে যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু রাজশাহী পৌঁছানোর আগেই বাঘা-ইশ্বরদী সড়কে ভটভটি-থ্রি হুইলার (সিএনজি) সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তারাসহ চালক রেজাইল করিম। আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর, সীমা, রনি ও নয়নকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথিমধ্যে মারা যায় নয়নের আত্মীয় সীমা। নিহত সীমা মানিকদিয়াড় গ্রামের আলমের স্ত্রী বলে জানা গেছে। আহতদের বহনকারি মাইক্রোচালক বুলবুল হোসেন সীমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বাঘা-ইশ্বরদী সড়কের বাঘা উপজেলার বানয়িাপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামে বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেন।

বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আখতারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিএনজি চালক রেজাইল করিম ও মোহনকে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে ওই ৩জনকে রাজশাহী মেডিকের কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী বানিয়াপাড়া গ্রামের আবুল কালাম জানান, ভটভটিতে মালামাল নিয়ে বাঘা ইশ্বরদী সড়ক দিয়ে লালপুরে যাচ্ছিলো। অপরদিক থেকে রাজশাহীতে যাচ্ছিলো সিএনজি। তার সামনে থাকা অপর একটি ট্রাককে অভারটেক করে যাওয়ার সময় ভটভটির সাথে ধাক্কা লাগে। সিএনজি উল্টে গিয়ে তারা গুরুতর আহন হন। এসময় ভটভটি ফেলে পালিয়ে যায় চালক।

বাঘা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মানিক উদ্দীন জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com